রফিকুল আলম, ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম)
কয়েক হাজার ফুট দৈর্ঘ আর প্রায় একশত ফুট প্রস্থ একটি খাল। খালটি যুগ-যুগ ধরে পরিস্কার করার জন্য কেউ এগিয়ে না আসায় ভরে ছিল ময়লা আবর্জনা থেকে শুরু করে লতা পাতা বিভিন্ন পরজিবী আগাছায় ভরপুর ছিল। দীর্ঘদিনের জমে থাকা ময়লা আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হওয়া খালটি পরিস্কার করে এক ঝাঁক স্বেচ্ছাসেবী।
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির নাজিরহাট পৌরসভার উদ্যেগে পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডস্থ মরা খাল হিসেবে পরিচিত ডোবাটি পরিস্কার করে সাধারণ ছাত্র, গাউছিয়া কমিটি ও বিডি ক্লিনের ফটিকছড়ির সদস্যরা এবং পরিচ্ছন্নতা উপকরণ বিতরণ করে সহযোগীতা করে আল মানাহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকালে নাজিরহাট জামিয়া মিল্লিয়া আহমদিয়া কামিল মাদ্রাসা মাঠে স্বেচ্ছাসেবকদের সমাবেশ এবং পরিচ্ছন্নতা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
পরবর্তী উপজেলার নাজিরহাট পৌর এলাকার ৮ নং ওয়ার্ডের গুল মোহাম্মদ বাড়ি সংলগ্ন ডোবায় পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ফটিকছড়ি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নাজিরহাট পৌর প্রশাসক মো. মেজবাহ উদ্দিন।
এসময় তিনি বলেন, আপনারা জানেন বাংলাদেশে সম্প্রতি ডেঙ্গু ভায়াবহ আকার ধারণ করেছে। আমাদের পৌরসভায়ও অনেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। ভয়াবহ অবস্থার পরিস্থিতির সৃষ্টি যাতে না হয় আমরা পৌরসভার মশার প্রজনন ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করেছি। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এ খালটি। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহযোগীতায় এ খালটি পরিস্কার অভিযান চলছে। এলাকাবাসীর কাছে অনুরোধ থাকবে যেখানে সেখানে আপনারা ময়লা আবর্জনা ফেলবেননা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ড. সেলিম রেজা, নাজিরহাট জামিয়া মিল্লিয়া আহমদিয়া কামিল মাদ্রাসার সহকারী অধ্যক্ষ আব্দুস সালাম শরিফী, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সুমন মন্ডল অপু, নাজিরহাট পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী রাজিব বড়ুয়া, সচিব নুরুল আবছার, গাউসিয়া কমিটির সদস্য সাজ্জাদ আলম, আল মানাহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি মো. মহিউদ্দিন,সাধারণ শিক্ষার্থী প্রতিনিধি মো. সাইমন প্রমুখ।