ডেস্ক রিপোর্ট: ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ আরও বলেন, রোববার রাত থেকে আমরা গুজব ছড়াতে দেখছি যে, তারা স্বেচ্ছায় বিবৃতি দেয়নি। যারা গুজব ছড়িয়েছেন, তাদের প্রতি অনুরোধ গুজব ছড়াবেন না।
সোমবার বিকেলে মিন্টু রোডে ডিবি কার্যালয়ের প্রধান ফটকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি ।
তিনি আরও বলেন, ডিবি একটি আস্থার জায়গা। সেখানে কাউকে আটকে রাখা হয় না। জোর করে বিবৃতি নেওয়া হয় না। তারা বরং অনুভব করেছে, সরকার তো সব দাবি মেনেই নিয়েছে। তারা আমাদের কাছে লিখিতভাবে বলেছে। যে কারণে তারা তাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
হারুন অর রশিদ জানান, ইতোমধ্যে তারা একটা বিবৃতিও দিয়েছে যে, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে তারা আর নেই। মানুষকে হেনস্তা করা বা কারো প্রতি অন্যায় আচরণ কখনোই ডিবি করে না, ভবিষ্যতেও করবে না। সমন্বয়কদের শিগগির ছেড়ে দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, মানুষ যখন বিপদে পড়ে আমাদের কাছে বা নিরাপত্তাহীনতায় পড়ে এখানে আসে বা আমরা নিয়ে আসি, আমরা তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করি।
হারুন বলেন, আমরা তাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। সোমবার ছয় সমন্বয়কের পরিবার ডিবিতে এসেছে। তারা কিন্তু বলেছে ওরা ভালো আছে। ওদের পরিবার কিন্তু রোববার রাতে এসেছিল। তারা নিজেরাও দেখেছেন ওরা কেমন আছে। সন্তুষ্টির প্রকাশ করেছে। ওরা যে ভালো আছে সেজন্য ধন্যবাদ দিয়েছে। তাদের পরিবারের লোকজন গণমাধ্যমে কথাও বলেছেন।
তিনি বলেন, পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে আমরা মনে করি, যদি কোনো ব্যক্তি নিরাপত্তাহীনতা বোধ করেন, আমাদের কাছে আসেন, তাহলে আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে তাদের দেখভাল করা। সেটিই আমরা করছি।
তিনি আরও বলেন, মানুষ যখন বিপদে পড়ে আমাদের কাছে বা নিরাপত্তাহীনতায় পড়ে এখানে আসে বা আমরা নিয়ে আসি, আমরা তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করি।
হারুন অর রশিদ বলেন, আপনারা জানেন, এই কোটাবিরোধী আন্দোলনটা করেছিল কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। তাদের ভেতরে ঢুকে একটি গোষ্ঠী জামায়াত-বিএনপি চক্র ধ্বংসাত্মক কাজ করেছে। পুলিশ সদস্যকে ঝুলিয়ে হত্যা, মানুষ হত্যা করেছে। রাষ্ট্রীয় স্থাপনাগুলোতে আগুন লাগিয়েছে। আমরা মনে করি, যদি আবার চক্রান্তকারীরা ঘোলা পানিতে মাছ ধরার চেষ্টা করে, তাহলে এই সমন্বয়কদের নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হতে পারে। সেজন্য তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি আমাদের দেখা দরকার।