ঢাকা , শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঢাকায় শিক্ষার্থী পারভেজ হত্যা মামলার প্রধান আসামী মেহেরাজ ইসলাম গাইবান্ধায় গ্রেফতার

রাজধানী ঢাকার প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলার প্রধান আসামী মেহেরাজ ইসলামকে (২০) গাইবান্ধা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১৩)।

 

বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে সদর উপজেলার সাহাপাড়া ইউনিয়নের ভবানীপুর এলাকার এরশাদ হোসেনের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মেহেরাজ ইসলাম প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ অধ্যায়নরত। তিনি ঢাকার বনানী (হাজারীবাড়ী) মহাখালী এলাকার নুরুল ইসলাম সর্দারের ছেলে।

 

র‌্যাব সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১৩, সিপিসি-৩, গাইবান্ধা ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল অভিযান চালিয়ে ভবানীপুর এলাকার আত্মীয় এরশাদ হোসেনের বাড়ি থেকে মেহেরাজকে গ্রেফতার করা হয়। মেহেরাজ ওই বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন।

 

গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্যাব-১৩, সিপিসি-৩, গাইবান্ধা ক্যাম্পের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সিনিয়র সহকারি পরিচালক (মিডিয়া) অধিনায়কের পক্ষে বিপ্লব কুমার গোস্বামী বলেন, গ্রেফতারের পরপরেই তাকে কড়া নিরাপত্তায় ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছে র‌্যাব সদস্যরা। এ বিষয়ে র‌্যাব-১ উত্তরা থেকে ব্রিফিং করে বিস্তারিত তথ্য জানাবেন।

 

গত ১৯ এপ্রিল বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের দোকানে সিঙ্গাড়া খাচ্ছিলেন দুই তরুণী। তাঁদের একজন প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পিয়াসের বান্ধবী। তখন পারভেজ সেখানে বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলার সময় হাসছিলেন। তিনি কেন হাসলেন, এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন পিয়াসের বান্ধবী। এরপর পিয়াস, মেহেরাজ ও মাহাথিরের সাথে পারভেজদের বাগবিতন্ডা ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনার জেরে খুন হয় পারভেজ।

 

ঘটনার পরেরদনি এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব দাবী করেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই নেতার নেতৃত্বে পারভেজকে হত্যা করা হয়।

 

এ ব্যাপারে নিহত ব্যক্তির মামাতো ভাই হুমায়ুন কবীর মামলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের দুই নেতাসহ আটজনের নাম উল্লেখ এবং ২৫ থেকে ৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি মামলা করেন। মামলার পর গত ২০ এপ্রিল রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

 

গত ২২ এপ্রিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানার যুগ্ম সদস্য সচিব হৃদয় মিয়াজিকে গ্রেফতার করা হয়। এরআগে গত ২০ এপ্রিল রাজধানীর মহাখালী থেকে গ্রেফতার হয় কামাল হোসেন, আলভী হোসেন জুনায়েদ ও আল আমিন সানি। তাঁদের সবাইকে ৭ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।

জনপ্রিয় সংবাদ

গাইবান্ধায় সরোজ দেব স্মরণে স্মারক সম্মাননা পেলেন ১০ জন

ঢাকায় শিক্ষার্থী পারভেজ হত্যা মামলার প্রধান আসামী মেহেরাজ ইসলাম গাইবান্ধায় গ্রেফতার

প্রকাশ: ০৭:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

রাজধানী ঢাকার প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলার প্রধান আসামী মেহেরাজ ইসলামকে (২০) গাইবান্ধা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১৩)।

 

বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে সদর উপজেলার সাহাপাড়া ইউনিয়নের ভবানীপুর এলাকার এরশাদ হোসেনের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মেহেরাজ ইসলাম প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ অধ্যায়নরত। তিনি ঢাকার বনানী (হাজারীবাড়ী) মহাখালী এলাকার নুরুল ইসলাম সর্দারের ছেলে।

 

র‌্যাব সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১৩, সিপিসি-৩, গাইবান্ধা ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল অভিযান চালিয়ে ভবানীপুর এলাকার আত্মীয় এরশাদ হোসেনের বাড়ি থেকে মেহেরাজকে গ্রেফতার করা হয়। মেহেরাজ ওই বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন।

 

গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্যাব-১৩, সিপিসি-৩, গাইবান্ধা ক্যাম্পের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সিনিয়র সহকারি পরিচালক (মিডিয়া) অধিনায়কের পক্ষে বিপ্লব কুমার গোস্বামী বলেন, গ্রেফতারের পরপরেই তাকে কড়া নিরাপত্তায় ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছে র‌্যাব সদস্যরা। এ বিষয়ে র‌্যাব-১ উত্তরা থেকে ব্রিফিং করে বিস্তারিত তথ্য জানাবেন।

 

গত ১৯ এপ্রিল বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের দোকানে সিঙ্গাড়া খাচ্ছিলেন দুই তরুণী। তাঁদের একজন প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পিয়াসের বান্ধবী। তখন পারভেজ সেখানে বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলার সময় হাসছিলেন। তিনি কেন হাসলেন, এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন পিয়াসের বান্ধবী। এরপর পিয়াস, মেহেরাজ ও মাহাথিরের সাথে পারভেজদের বাগবিতন্ডা ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনার জেরে খুন হয় পারভেজ।

 

ঘটনার পরেরদনি এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব দাবী করেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই নেতার নেতৃত্বে পারভেজকে হত্যা করা হয়।

 

এ ব্যাপারে নিহত ব্যক্তির মামাতো ভাই হুমায়ুন কবীর মামলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের দুই নেতাসহ আটজনের নাম উল্লেখ এবং ২৫ থেকে ৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি মামলা করেন। মামলার পর গত ২০ এপ্রিল রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

 

গত ২২ এপ্রিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানার যুগ্ম সদস্য সচিব হৃদয় মিয়াজিকে গ্রেফতার করা হয়। এরআগে গত ২০ এপ্রিল রাজধানীর মহাখালী থেকে গ্রেফতার হয় কামাল হোসেন, আলভী হোসেন জুনায়েদ ও আল আমিন সানি। তাঁদের সবাইকে ৭ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।