পলাশবাড়ীতে ৫৭ পূজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব
আরিফ উদ্দিন, গাইবান্ধা প্রতিবেদক
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে এ বছর ৫৭টি পূজা মন্ডপে সার্বজনীন শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলার পুজা মন্ডপ সমূহে চলছে প্রতিমা সাজসজ্জায় শিল্পীর রং-তুলির শেষ আঁচর। প্রায় সপ্তাহতিনেক ধরে বাঁশ-কাঠ, খড়-সুতলি ও কাঁদামাটিসহ অন্যসব উপকরণ দিয়ে শুরু হয় প্রতিমা তৈরির কাজ।
রাত-দিন ব্যস্তসময় পেরিয়ে এসেছেন প্রতিমা শিল্পীরা। প্রতিটি মন্ডপে প্রতিমা তৈরী করা হয়েছে বাহারি সাজে। রংবেরঙের পরিধেয় কাপড়,ডেকোরেশন ও বৈদ্যুতিক লাইটিং এর কাজ চলছে পুরোদমে। বুধবার (৯ অক্টোবর) ষষ্ঠমীর মধ্যদিয়ে বিশ্ব শান্তির কল্যাণে সনাতন হিন্দুধর্মালম্বীদের বৃহৎ উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজায় দেবীকে আসনে রেখে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।
প্রতিমা শিল্পী খোকন চন্দ্র মালাকার জানায়, নিখুঁত ভাবে প্রতিমা তৈরী করা হয়েছে। কাজ প্রায় শেষ। দেশ-বিদেশের রং-তুলির বর্ণিল আঁচড়ের সাথে মিলিয়ে দেব-দেবীর শরীরে পড়ানো হবে গহনা। শিল্পী সুজিত মালাকার জানান, মাসখানেক আগে শুরু হয় প্রতিমা তৈরীর কাজ। এখন রং-তুলির শেষ আঁচরে ব্যস্ত তারা।
উপজেলার ১টি পৌরসভা এবং ৮টি ইউনিয়নে মোট ৫৭টি মন্ডপে আনন্দ ঘন উৎসবে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে।
পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দিলিপ চন্দ্র সাহা জানান, হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় দুর্গোৎসব সুষ্ঠভাবে উদযাপনে ইতোমধ্যেই সকল প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। পূজা চলাকালীন উপজেলার সর্বত্র সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছাড়াও নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবী জানিয়েছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীর
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুল হাসান জানান, নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপনে প্রতিটি মন্ডপে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছাড়াও চলমান সময় সেনা সদস্যের রাউন্ডসহ স্বেচ্ছাসেবক টীম নিয়োজিত রয়েছে।