ঢাকা , শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাপ-দাদার জমিতে ইপিজেড না করার দাবীতে আবারো উত্তাল সাঁওতালরা

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বাপ-দাদার জমিতে ইপিজেড নির্মাণের উদ্যোগ বাতিলসহ বিভিন্ন দাবীতে আবারো উত্তাল হয়ে উঠেছেন সাঁওতালরা।

 

এই দাবীতে নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণীসহ সাঁওতাল সম্প্রদায়ের সববয়সী মানুষ তীর-ধনুক হাতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন।

 

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) কাটামোড়ে সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি ও অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি) এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাস্কের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. খায়রুল চৌধুরী, লেখক-গবেষক পাভেল পার্থ, এএলআরডির পরিচালক শামসুল হুদা, এএলআরডির আইন বিষয়ক কর্মকর্তা অ্যাড. রফিক সিরাজী, আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদের আহবায়ক অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বাবু, মানবাধিকারকর্মী গোলাম রব্বানী মুসা, আদিবাসী নেতা বার্নাবাস টুডু, আইনজীবী মোহাম্মদ আলী প্রামাণিক, রেজাউল করিম মাস্টার, ময়নুল ইসলাম, বিট্রিশ সরেন ও স্বপন শেখ প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন আদিবাসী নেতা প্রিসিলা মুরমু ও অ্যাড. ফারুক কবীর।

 

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ইপিজেড নির্মাণের নামে সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্মের ভেতরে সাঁওতালদের বাপ-দাদার তিন ফসলি জমি থেকে উচ্ছেদ করা যাবে না। শহীদ শ্যামল হেমব্রম, রমেশ টুডু ও মঙ্গল মারডির রক্তে ভেজা জমিতে ইপিজেড করা যাবে না। গোবিন্দগঞ্জের সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্মের ১ হাজার ৮৪২ একর জমি আদিবাসীদের ফিরিয়ে দিতে হবে। বক্তারা আরো বলেন, সাঁওতালসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন ও উচ্ছেদ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে তারা দেশান্তরে বাধ্য হবেন। এতে ভাষা, সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। সাঁওতালসহ বিভিন্ন ুদ্র জাতিগোষ্ঠীর শূন্যতা ঠেকাতে তাদের প্রতি সহিংসতা, নির্যাতন ও উচ্ছেদ বন্ধ করতে হবে।

 

এ সময় হামলা, অগ্নিসংযোগ, গুলিবর্ষণ ও লুটপাটের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবী জানান বক্তারা। পাশাপাশি গুলিতে নিহত ও আহত সাঁওতাল পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণ, জমি পুনরুদ্ধার চুক্তি বাস্তবায়ন, সন্ত্রাসীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তারা। সাঁওতাল পল্লীতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদসহ চিহ্নিত আসামিদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবী জানান বক্তারা।

 

ইক্ষু খামারসংলগ্ন মাদারপুর, জয়পুরপাড়া ও সাহেবগঞ্জ মেরীসহ কয়েকটি গ্রাম থেকে তীর-ধনুক, বাদ্যযন্ত্র, ফেস্টুন ও ব্যানার হাতে শতশত সাঁওতাল ও বাঙালি বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

গাইবান্ধায় সরোজ দেব স্মরণে স্মারক সম্মাননা পেলেন ১০ জন

বাপ-দাদার জমিতে ইপিজেড না করার দাবীতে আবারো উত্তাল সাঁওতালরা

প্রকাশ: ০৭:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বাপ-দাদার জমিতে ইপিজেড নির্মাণের উদ্যোগ বাতিলসহ বিভিন্ন দাবীতে আবারো উত্তাল হয়ে উঠেছেন সাঁওতালরা।

 

এই দাবীতে নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণীসহ সাঁওতাল সম্প্রদায়ের সববয়সী মানুষ তীর-ধনুক হাতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন।

 

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) কাটামোড়ে সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি ও অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি) এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাস্কের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. খায়রুল চৌধুরী, লেখক-গবেষক পাভেল পার্থ, এএলআরডির পরিচালক শামসুল হুদা, এএলআরডির আইন বিষয়ক কর্মকর্তা অ্যাড. রফিক সিরাজী, আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদের আহবায়ক অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বাবু, মানবাধিকারকর্মী গোলাম রব্বানী মুসা, আদিবাসী নেতা বার্নাবাস টুডু, আইনজীবী মোহাম্মদ আলী প্রামাণিক, রেজাউল করিম মাস্টার, ময়নুল ইসলাম, বিট্রিশ সরেন ও স্বপন শেখ প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন আদিবাসী নেতা প্রিসিলা মুরমু ও অ্যাড. ফারুক কবীর।

 

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ইপিজেড নির্মাণের নামে সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্মের ভেতরে সাঁওতালদের বাপ-দাদার তিন ফসলি জমি থেকে উচ্ছেদ করা যাবে না। শহীদ শ্যামল হেমব্রম, রমেশ টুডু ও মঙ্গল মারডির রক্তে ভেজা জমিতে ইপিজেড করা যাবে না। গোবিন্দগঞ্জের সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্মের ১ হাজার ৮৪২ একর জমি আদিবাসীদের ফিরিয়ে দিতে হবে। বক্তারা আরো বলেন, সাঁওতালসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন ও উচ্ছেদ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে তারা দেশান্তরে বাধ্য হবেন। এতে ভাষা, সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। সাঁওতালসহ বিভিন্ন ুদ্র জাতিগোষ্ঠীর শূন্যতা ঠেকাতে তাদের প্রতি সহিংসতা, নির্যাতন ও উচ্ছেদ বন্ধ করতে হবে।

 

এ সময় হামলা, অগ্নিসংযোগ, গুলিবর্ষণ ও লুটপাটের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবী জানান বক্তারা। পাশাপাশি গুলিতে নিহত ও আহত সাঁওতাল পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণ, জমি পুনরুদ্ধার চুক্তি বাস্তবায়ন, সন্ত্রাসীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তারা। সাঁওতাল পল্লীতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদসহ চিহ্নিত আসামিদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবী জানান বক্তারা।

 

ইক্ষু খামারসংলগ্ন মাদারপুর, জয়পুরপাড়া ও সাহেবগঞ্জ মেরীসহ কয়েকটি গ্রাম থেকে তীর-ধনুক, বাদ্যযন্ত্র, ফেস্টুন ও ব্যানার হাতে শতশত সাঁওতাল ও বাঙালি বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেন।