বিশ্ববিদ্যালয় হত্যাকান্ড; জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে ‘চোর সন্দেহে’ পিটুনিতে মারা যান তোফাজ্জল হোসেন। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে হলে তাকে পিটিয়ে হত্যা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শাহবাগ থানায় অভিযোগটি করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের সুপারভাইজার মোহাম্মদ আমানুল্লাহ। এরই মধ্যে চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। 

মাসুদ কামাল তোফাজ্জল বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাঠালতলী ইউনিয়নের তালুকের চরদুয়ানী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ২০২০ সাল থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। তোফাজ্জল পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ থেকে অনার্স-মাস্টার্স শেষ করেন। ছাত্রজীবনে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পাথরঘাটা উপজেলার কাঠালতলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। 

২০১১ সালে তোফাজ্জলের বাবা আবদুর রহমান সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান, ২০১৩ সালে মা বিউটি বেগম লিভার ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। একমাত্র বড় ভাই নাসির পুলিশে চাকরি করতেন। ২০২৩ সালে লিভার ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে তিনিও মারা যান। এ হত্যা কান্ডের ঘটনায় পুরো দেশজুড়ে চলছে সমালোচনার ঝড়।  বিশ্ববিদ্যালয়ের মত যায়গায় এমন ঘটনা ন্যক্কারজনক। ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংশ্লিষ্ট

Back to top button