শেখ মনিরুজ্জামান মনু, কয়রা (খুলনা) প্রতিবেদক
থামছে না সুন্দরবনের নদী-খালে বিষ দিয়ে মাছ শিকার। যার কারনে হুমকীর মুখে রয়েছে মৎস্য সম্পদ। বিষ দিয়ে ধরা মাছ প্রকাশ্য মৎস্য আড়ৎ এবং হাট-বাজারে বিক্রি হচ্ছে। দেউলিয়া বাজার মৎস্য আড়তে যেয়ে এমনি চিত্র দেখা গেছে।
সেখানে কথা হয় রফিকুল ইসলামের সাথে তিনি বলেন, বাড়িতে মেহমান এসেছে সে জন্য মাছ কাটায় গিয়েছিলাম মাছ কিনতে, কিন্তু মাছ কেনা হলোনা। তিনি আরো বলেন, অনেকেই বলছেন সুন্দরবনে নদী-খালে বিশ দিয়ে ধরা মাছ সে জন্য মাছ না কিনে ফিরে এসেছি। অথচ সুন্দরবনের নদী-খাল বিষ মুক্ত করতে বনবিভাগ ইতিমধ্যে লিখিত নির্দেশনা বনবিভাগের সকল অফিসে পাঠিয়েছেন।
নির্দেশনায় সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ ধরা, অভয়ারণ্য প্রবেশ করে বন্যপ্রাণী শিকার বন্ধের জন্য পাশ ইস্যু করার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কয়েকটি শর্ত আরোপ করা হয়েছে। কিন্তু কোন শর্তই মানছে না জেলেরা। তারা পূরাতন নিয়মে অভয়ারণ্য (নিষিদ্ধ খালে) বিষ দিয়ে মাছ ধরছে। যার ফলে হুমকীর মুখে রয়েছে সুন্দরবনের মৎস্য সম্পদ।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, জুন মাসের ১ তারিখ থেকে তিন মাস সুন্দরবনে মাছ ধরা বন্ধ থাকার পর ১ সেপ্টেম্বর সুন্দরবনে জেলেদের মাছ ধরার অনুমতি দিয়েছে বন বিভাগ। অনুমতি পেয়েই পূর্বের ন্যায় জেলেরা সুন্দরবনের নদী-খালে বিষ দিয়ে মাছ ধরা শুরু করেছেন। তিন মাসের ঘাটতি পোষাতে সুন্দরবনের নীলকোমল,ভোমরখালী, গেওয়াখালী ও কাগা দোবেকী বন টহল ফাঁড়ির কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে চুক্তি করে কালিরচর, সিসখালী,ছদনখালী, কাগান্দী, মরাবাবগা ও কেওড়াতলী খাল,ভোমরখালী কুকুমারী, বড় কুকুমারী ,ভোমরখালী ও খলিশাবুনিয়া নিষিদ্ধ খালে বিষ প্রয়োগ করে মাছ ধরছে জেলেরা।
এ বিষয়ে কাগাদোবেকী বন টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম আবু সাইদ বলেন, আমরা কোন সহযোগিতা করিনা। বরং অভয়ারণ্য যাতে কেই মাছ ধরতে না পারে সে জন্য বন বিভাগের লোকজন সতর্ক রয়েছে। কাশিয়াবাদ ফরেস্ট স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা নির্মল চন্দ্র মন্ডল জানান, কোন জেলে সুন্দরবনের নদী-খালে বিষ দিয়ে মাছ ধরতে না পারে সে জন্য বনবিভাগের পক্ষ থেকে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সুন্দরবন পশ্চিম বনবিভাগের
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) ডক্টর আবু নাসের মোহসিন হোসেন বলেন, সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার ও অভয়ারণ্য প্রবেশ করে বন্যপ্রাণী শিকার বন্ধের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
