জেনে নিন যেসব ভুল কিডনির ক্ষতি করে

লাইফস্টাইল ডেস্ক : কিডনি আমাদের শরীরের প্রাকৃতিক ফিল্টার। এটি আমাদের শরীর সর্বোত্তম পুষ্টি গ্রহণ এবং টক্সিন দূর করতে কাজ করে। পানি, লবণ এবং প্রয়োজনীয় খনিজের মধ্যে একটি সূক্ষ্ম ভারসাম্য বজায় রাখার মাধ্যমে কিডনি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কিডনি দক্ষতার সঙ্গে কাজ করা বন্ধ করে দিলে ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগের মতো রোগ হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে পারে।

জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাস শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে খারাপ প্রভাব ফেলে। এই তালিকা থেকে বাদ যায় না কিডনিও ।খাদ্যাভ্যাসের ভুলত্রুটি এই অঙ্গটিরও ভীষণ ক্ষতি করে । বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একবার এই অঙ্গের ক্ষতি হলে পূর্বাবস্থায় ফেরানো যায় না। তখন কেবল রোগটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার অভ্যাস কিডনির স্বাস্থ্যকে নষ্ট করতে পারে। এটি অত্যধিক প্রস্রাব, ক্লান্তি, ফোলা চোখ এবং চুলকানির মতো লক্ষণের মাধ্যমে স্পষ্ট হতে পারে। কিডনির কার্যকারিতা ভালো করার জন্য সোডিয়াম ও পটাসিয়াম কম এবং ফাইবার বেশি থাকে এমন খাবার খাওয়া উচিত। কিডনি স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য প্রতিদিনের এই ভুলগুলো আমাদের এড়ানো উচিত-

  • পানি কম পান করা

কিডনি সুস্থ রাখতে ভালোভাবে হাইড্রেটেড থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি পানি পান না করেন তাহলে কিডনি রক্ত ​​থেকে বর্জ্য ফিল্টার এবং প্রস্রাবের আকারে বিষাক্ত পদার্থ বের করতে সক্ষম হবে না। সঠিকভাবে পানি পান করা না হলে কিডনিতে কার্যকরভাবে কাজ করার জন্য পর্যাপ্ত তরল থাকে না। এটি কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

  • ধূমপান

ধূমপান কিডনির জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর অভ্যাসগুলোর মধ্যে একটি। এটি ফুসফুসের জন্য খারাপ এবং কিডনিকেও প্রভাবিত করে। এই অভ্যাস কিডনিতে রক্ত ​​​​প্রবাহকে ধীর করে দেয়, বিষাক্ত পদার্থগুলোকে ফিল্টার করার ক্ষেত্রে কার্যকারিতা হ্রাস করে। এটি উচ্চ রক্তচাপ এবং কিডনি ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। ধূমপান ত্যাগ করলে কিডনি রোগের ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়।

  • অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ

লবণে আয়োডিন থাকে, যা রক্তচাপ বাড়ায় এবং কিডনির ক্ষতি করে। এই অভ্যাস কিডনির কাজ করা কঠিন করে তোলে এবং টক্সিন বের করে দেয়। তাই প্রতিদিনের খাবারে লবণ গ্রহণ কমিয়ে আপনার কিডনি রক্ষা করতে পারেন; এতে কিডনি কার্যকরভাবে কাজ করতে পারবে।

  • অতিরিক্ত চিনি খাওয়া

আপনি যখন অতিরিক্ত চিনি গ্রহণ করেন, তখন এটি স্থূলতা এবং ডায়াবেটিসের কারণ হতে পারে, যা কিডনি রোগের প্রধান ঝুঁকির কারণ। রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি হলে এটি সহজেই কিডনির রক্তনালীর ক্ষতি করতে পারে; ফলে কিডনি সঠিকভাবে কাজ করে না। চিনি গ্রহণের মাত্রা কমিয়ে আপনার কিডনির স্বাস্থ্য রক্ষা করতে পারেন।

  • প্রাথমিক লক্ষণ উপেক্ষা করা

অনেক লোকই কিডনি রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলো উপেক্ষা করে এবং পরে অনুশোচনা করে। তারা স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য যেতে দেরি করে বা কিডনির স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য কোনো পদক্ষেপ নেয় না। এতে কিডনির মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। আপনি যদি কিডনি সমস্যার প্রাথমিক পর্যায়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যান, তাহলে তিনি আপনাকে কিডনির কার্যকারিতা ঠিক করার জন্য উপযুক্ত পরামর্শ দিতে পারবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংশ্লিষ্ট

Back to top button