বিজ্ঞান প্রযুক্তি ডেস্ক: বর্তমানে প্রায় সবার হাতেই স্মার্টফোন দেখা যায়। কলিং, চ্যাটিং বা গেমিং ছাড়াও এখন এটি ব্যাংকিং, ব্যক্তিগত ও পেশাগত কাজেও ব্যবহৃত হয়। কিন্তু, আমরা দেখে থাকি নতুন ফোন কেনার পর কয়েক সপ্তাহ বেশ ভালোভাবেই চলে। এরপর হঠাৎ করে স্লো হতে শুরু করে সাধের অ্যান্ড্রয়েড ফোন। এই সমস্যা প্রায় সব মানুষেরই সঙ্গেই হয়ে থাকে। তবে সময়ের সঙ্গে ফোনের গতি কমে যাওয়া নতুন কিছু নয়। কিন্তু, অনেক সময় এটি বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
তবে আপনি কি জানেন কি? পুরোনো স্মার্টফোনকেও নতুনের মতো ফাস্ট করা যায়। এই সমস্যা সমাধানে প্রযুক্তিভিত্তিক ওয়েবসাইট পিসিম্যাগের এক প্রতিবেদনে কিছু টিপস দেওয়া হয়েছে। চলুন সেসব টিপস গুলো জেনে নেওয়া যাক:
- ফোন রিস্টার্ট দেওয়া
ফোন দীর্ঘ সময় ধরে চললে এর ‘ব্যাকগ্রাউন্ড’-এ থাকা বিভিন্ন প্রক্রিয়া ফোনের গতি কমিয়ে দিতে পারে। তাই মাঝেমধ্যে ফোন রিস্টার্ট করুন। যা ব্যাকগ্রাউন্ডে চলা বিভিন্ন প্রক্রিয়া থামানোর জন্য যথেষ্ট। এমনকি এতে ফোনের কার্যকারিতা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও আছে।
- অ্যাপ আনইনস্টল করা
ফোন থেকে বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ মুছে ফেলুন। অনেকেই ধারণা করতে পারেন, অ্যাপ বন্ধ থাকলে ফোনের ওপর তেমন প্রভাব পড়ে না। তবে, ফোনের ‘ব্যাকগ্রাউন্ড’-এ বিভিন্ন অ্যাপ সক্রিয় থাকলে ফোনের গতি কমাতে পারে। তাই যে অ্যাপসগুলোর প্রয়োজন নেই সেগুলো আনইনস্টল করে দিতে পারেন।
- অ্যাপ ক্যাশে ফাইল মুছে ফেলা
ওয়েব ব্রাউজ করার সময় ফোনের গতি কমে যাওয়ার ক্ষেত্রে। এর সম্ভাব্য কারণ হতে পারে সংশ্লিষ্ট অ্যাপে জমে থাকা ডেটার পরিমাণ। ব্যবহারকারী কেবল প্রতি ব্রাউজারের ভিত্তিতে ক্যাশে ফাইল মুছতে পারেন, যা খুবই সহজ একটি প্রক্রিয়া। আইফোনের ক্ষেত্রে সেটিংস অ্যাপে থাকা সাফারি অপশনে যেতে হবে। এরপর ক্লিয়ার হিস্ট্রি অ্যান্ড ওয়েবসাইট ডেটা অপশনে চাপ দিতে হবে। আর অ্যান্ড্রয়েডের ক্ষেত্রে, সেটিংস অ্যাপে থাকা ‘স্টোরেজ’ অপশনে যান। এরপর ‘অ্যাপস’ অপশনটি চাপুন। এখানে প্রতিটি অ্যাপ একত্রে বেছে নিয়ে ‘ক্লিয়ার ক্যাশে’ নামের অপশনে চাপ দিলেই সব তথ্য মুছে যাবে।
- ফোন আপডেট দেওয়া
ফোনের সব অ্যাপ ও অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন নিয়মিত আপডেট করুন। অনেক সময় পুরোনো ভার্সন ব্যবহারের কারণে ফোন স্লো হতে থাকে। গুগল প্লে স্টোর থেকে সব অ্যাপ আপডেট করতে পারবেন। অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন আপডেট করার জন্য ফোনের সেটিংস থেকে সিস্টেম সিলেক্ট করে সিস্টেম আপডেট অপশন বেছে নিতে হবে।
- ফোন সাধারণ অবস্থায় রাখুন
ফোনের গতি কমছে এমন মনে হলে ডিভাইসে বিভিন্ন নতুন ফিচারের ব্যবহার কমিয়ে ফেলুন। এতে ডিভাইসটির ওপর চাপ কমবে। আইফোনের ক্ষেত্রে এর সম্ভাব্য মানে, হোম স্ক্রিন বা লক স্ক্রিন থেকে সব উইজেট সরানো। যেখানে এগুলোকে ঠিকঠাক রাখতে ক্রমাগত রিফ্রেশ করার প্রয়োজন পড়ে। যার ফলে ফোনের গতি কমে যেতে পারে।
এছাড়া, ফোনে সর্বশেষ আপডেট রাখাও গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে নতুন সফটওয়্যার আপডেট এলে তা ইনস্টল করার পরামর্শ দিয়েছে ইনডিপেন্ডেন্ট। এতে ফোনের নিরাপত্তার পাশাপাশি সফটওয়্যার আপডেট করার পর ফোনের কার্যকারিতাও বেড়ে যেতে পারে।
- অ্যানিমেশন স্পিড কমানো
অ্যান্ড্রয়েড ফোন অ্যানিমেশনের জন্য অনেকটা স্লো হয়। বিশেষ করে বাজেট সেগমেন্টের ফোনে এই সমস্যা বেশি। ফোন সেটিংস থেকে অ্যানিমেশন বন্ধ করলে পারফরম্যান্সে উন্নতি পাবেন।