মিথ্যের নিষ্পেষণ
মো. কামরুল হাসান
বিশ্বাস যখন অবিশ্বাসের স্তুপতলে লুকায়িত
অন্ধের ন্যায় আচারে সেথা হয় সবে নিষ্পেষিত।
মিথ্যের বেড়াজালে আবরি নিজেকে যারা
সত্যের আচ্ছাদনে মুড়িবার পায়তারা করে,
কুৎসিত আত্মার বিশুদ্ধতার মুখোশে
অন্যের অহিত সাধনে হুমড়ে পড়ে।
অন্তরে বিষ পুষে মুখে মধুরতার প্রদর্শন,
সুযোগ পেলেই ঘটায় বিষের বর্ষণ।
সত্য আর সত্যবাদিতা! নেতিবাচক ভেবে
মিথ্যের চর্চায় উন্মাদ হয়ে ছুটছে সবে।
বিশ্বাস আর বিশ্বাসী ক্ষতিগ্রস্ত আশংকায়
দুলছে সবাই অবিশ্বাসের নিষ্ঠুর দোলায়।
বন্ধুত্ব যখন কেবলই একটি শব্দে সীমাবদ্ধ
শত্রুর আস্ফালনে বন্ধুর নির্মল আত্মা নিস্তব্ধ।
ক্ষণকাল পরে অস্তিত্বের বিনাস জেনেও
ক্ষণিকের সুধাপানে ব্যস্ততার মহড়া,
অনাগত কাল কেমন কাটবে তার হিসেব
কে করে? সে তো নিষ্প্রয়োজন সারা।
সত্যরা নির্বাক দৃষ্টে ফ্যাল ফ্যালিয়ে তাকায়,
মিথ্যেরা বলিষ্ঠ কণ্ঠে জয়ডাক হাঁকায়।
বিশ্বাসীর জয় কেউ শুনেছ? হয়ত অতি অল্প।
বিশ্বাসকে ঠকতে দেখেনি এমন জীব ভবে স্বল্প।
শয়তান লুকানোর জায়গা সব দুষ্টের কবলায়,
চাটুকারের অট্টহাসিতে অবলারা বুক চাপড়ায়।
মিথ্যের নিষ্পেষণে আর চক্রান্তকারীর কুমন্ত্রণায়
সত্য মিথ্যের প্রভেদ! যৎসামান্য করিতে ব্যর্থ হয়।
অসভ্যের মন্ত্রণাঘর নস্যাতে দিলে সাহসী গর্জন
সভ্যের প্রভাত আসিবে, হবে তবে সত্যের জয়ার্জন।
আহ্বান রবে সৎসাহসীদের! সমাজ নিষ্কণ্টক করার।
সকলের অভিপ্রায় হোক, সত্য সুন্দর এক বিশ্ব গড়ার।